আমি অনলাইনে কি কাজ করবো? পর্ব-1

আসসালামু আলাইকুম। সবাই কেমন আছেন। আল্রাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন অব্যশই। আজ আমি আপনাদের সাথে অনলাইন আয় নিয়ে ধারাবিহক পোষ্ট করব। কেউ পোস্টগুলো মিস করবেন না আশা করি। নতুনরা জানুন কাজে দেবে। যারা অনলাইন এ নতুন আসে তারা সবাই চাই এবং গুগল এ অনেক সার্চ দেয় অনলাইন থেকে ইনকাম লিখে কিন্তু ১মাস গুতাগুতি করার পর দেখে যে না অনেক কঠিন এটা আমার দ্বারা সম্ভব না।এবং অনেকে ইচ্ছা থাকলেও সঠিক পথ না জানায় কাজ শুরু করতেই পারে না। অবশেষে তাদের শেষ কথা অনলাইন এ ইনকাম করা সম্ভব না।
রমযান মাস আমি একটুও মিথ্যা টাইটেল দেয়নি। কারন অনলাইন এ আমার অনেক ভাই আছে যারা ১০০০+ ডলার ইনকাম করে থাকেন প্রতি মাসে।
এখন কথা হচ্ছে  আপনি নতুন আপনি কিভাবে পারবেন?
আপনি কিভাবে পারবেন?
তাহলে আপনাকে আমি সম্পূর্ন উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
আপনি যখন ছোট ছিলেন ক্লাস ১ থেকে ১০পর্যন্ত পড়ছেন স্কুল লাইফ এই আপনার ১০বছর এর বেশি সময় ব্যায় করেছেন পড়াশুনার জন্য।এরপর কলেজ ইউনিভারসিটি তে আরো সময় ব্যায় করেছেন পড়ালেখার জন্য সব মিলিয়ে ২২থেকে ২৫ বছর ধরে নেই আমরা।আমরা ২৫বছর পড়াশুনা করেছি খুব পরিশ্রম করেছি পরিক্ষা দিয়েছি রাত জেগে কষ্ট করে পড়েছি। 
সব কিছু কিসের জন্য?
হ্যা আমি যা বলতে যাচ্ছি আশা করি বুঝে গেছেন সবাই? হ্যা ভাল একটা চাকরির জন্য এবং সমাজে মাথা উচূ করে দাঁঁড়াবার জন্য। ২৫বছর পড়াশুনা করে এখন অনেকেই তার সমমানের চাকরি পাননা অনেকে ৮হাজার টাকা বেতন এর চাকরি পান অনেকে ১২হাজার টাকা বেতন এর চাকরি পেলে ঈদের মত খুশি হয়ে চাকরি করতে থাকেন।
আমরা ২৫বছর কষ্ট করার পড় ১২হাজার টাকার চাকরি পেলে খুশি এত কষ্ট করার পর। হ্যা আস্তে আস্তে বেতন বাড়ে অনেক উচু লেবেল এ পড়াশুনা সম্পূর্ন করে ভাল বেতন পাওয়া যায়।
আমার কথার এইটাই মানে হল আমরা ২৫বছর যদি এত কষ্ট করে সামান্য বেতন পেয়ে খুশি হই। তাহলে আপনি ভাবলেন কিভাবে যে মাত্র ২মাস কষ্ট করে আপনি ১০০০+ডলার ইনকাম করতে পারবেন প্রতি মাসে।
অনলাইন এ ইনকাম করতে হলে কম পড়াশুনা করতে হয়না, যত বেশি পড়াশুনা করবেন ততটাই সাফল্যর দিকে পৌছাতে থাকবেন। এখানে ইনকাম করতে গেলে আপনাকে  ২৫বছর সময় ব্যায় করতে হবে না। কমপক্ষে ৫ থেকে ৮ মাস ভাল ভাবে ফ্রিল্যান্সিং এর পিছনে ব্যায় করলে আপনি ভাল ভাবে শিখতে পারবেন এবং হিউজ পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেকের ২বছর ও লেগে যায়। কিন্তু এখানে সময় কোন বিষয় না মূল কথা হল এই পথ থেকে সরে যাবেন না। আপনি যদি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই একদিন না একদিন আপনার পথের শেষ প্রান্তে যাবেন ১০০% গ্যারান্টি।
যখন আপনি পথ পেরিয়ে আপনার সাফল্যে পেয়ে যাবেন তখন আপনি চাকরি করে যে বেতন পেতেন তার ৩ গুন বেশি টাকা অনলাইন থেকেই ইনকাম হবে।
আমি কোন মিথ্যা আশ্বাস দিচ্ছিনা কারন অনেকেই আছে আপনার বিশ্বাস না হলে খুজে দেখেন অনেক পাবেন হাজার হাজার লোক।
আশা করি আমার কথাটা বুঝতে পেরেছেন। আমার মুল বিষয় ছিল অনলাইনে ইনকামের সেরা ২টি পথ, এখন আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো।
১. ফ্রিল্যান্সিং: ওয়েব ডেভলপমেন্ট,ওয়েব ডিজাইন,গ্রাফিক্স ডিজাইন,ওয়েবসাইট বানিয়ে এডস এর মাধ্যেমে ইনকাম, ওডেস্ক (আপওয়ার্ক), ওয়ার্ডপ্রেস,ব্লগ ইত্যাদি।
২. ফরেক্স ট্রেডিং।
(এই সবগুলো বিষয় নিয়েই ধারাবাহিকভাবে পোষ্ট করা হবে। এটা 1ম পোষ্ট)
 
 
 
 
ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং আসলে কি?
বিভিন্ন দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে মেধা ও শ্রমের মূল্য অনেক কম। ওখানে কোন কাজ করতে যে পরিমান খরচ করতে হয় তার অনেক কম খরচে আমাদের এখানে সেই একই কাজ সম্ভব।এরই প্রেক্ষাপটে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন কাজের জন্য গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেখানে যে কেউ তার কাজ করিয়ে নিতে পারে তার চাহিদা অনুযায়ী পছন্দের ফ্রীল্যান্সার দ্বারা।
কেন ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং?
আমাদের দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংথ্যার তুলনায় এখানে কাজ অপ্রতুল। আর যে পরিমান কর্মের সুযোগ আছে সেখানে জায়গা করে নেয়া যে কতটা কষ্টসাধ্য তা আমাদের আপনার/আমার চাইতে আর ভালো কে বলতে পারে। আর বহু কষ্টে একটা সুযোগ করে নিলেও তা কি প্রকৃত অর্থেই কি আপনার মেধার মূল্যায়ন করতে পারে? পারে কি আপনার চাহিদা মেটাতে? এই প্রশ্নগুলোর সহজ সমাধান হচ্ছে আউটসোর্সিং। যা আপনাকে অপেক্ষাকৃত সহজে করে দিতে পারে কাজের সুযোগ, যেখানে আপনার শ্রমের মূল্য আপনার মেধার সঙ্গে হবে সঙ্গতিপূর্ন। আর নিয়মতি কাজ করে গেলে এখানেই হতে পারে আপনার সুনিশ্চিত ক্যারিয়ার যা গড়ে দেবে আপনার ভবিষ্যত ও।
কিন্তু কাজগুলো কি ধরনের?
অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে রয়েছে নানা ধরনের কাজ যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ফরেক্স ট্রেডিং,  গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও,ডাটা এন্ট্রি, লোগো ডিজাইন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ব্লগিং, এসইম, এসএমএম, গ্রাফিক্স, ফটোশপ, আর্টিকেল রাইটিং ও ভার্চুয়াল সাপোর্ট।
 আপনি কি করবেন?
অনলাইন মার্কেটপ্লেসে যে কাজগুলো যা আছে তার মধ্যে সবেচেয়ে বেশী আছে ওয়েব ডিজাইন/ডেভেলপ আর এসইও এর কাজ বর্তমানে ফরেক্স ট্রেডিং খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এছাড়া অনেক কাজ আছে মার্কেটে। যার সম্মানীও আর অন্য কাজগুলো থেকে বেশী। তাই এই সেক্টরগুলোতেই আপনি নিজের সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
কিন্তু কিভাবে করবেন?
প্রথমে ঠিক করুন আপনি কোন কাজ শিখে ফ্রীল্যান্সিং করবেন।আগেই কাজ খোজার চেষ্টা করবেন না। আগে কাজ শিখুন, তারপর শুরু করুন।বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন এবং ওয়েব  ডেভেলপমেন্ট এর চাহিদা সব চাইতে বেশি এবং তার সাথে ফরেক্স ট্রেডিং ও খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে হাজারো বায়াররা যেখানে প্রতিদিন লক্ষাধিক কাজ করিয়ে থাকেন এটা যেমন ঠিক সেখানে তারা কাজের কোয়ালিটিতে নূন্যতম ছাড় দিতে চান না সেটাও একটি ধ্রুব সত্য। তাই আপনাকে আগেই বায়ারকে সুনিশ্চিত করতে হবে আপনার কাজের কোয়ালিটি সম্পর্কে। আর নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য আপনার দরকার প্রশিক্ষণ যার মাধ্যমে আপনি হয়ে উঠবেন একজন সুদক্ষ ওয়েব ডেভেলপার বা এসই কনসালটেন্ট অথবা পারফেক্ট ফরেক্স ট্রেডার।
ফ্রীল্যান্সিং শুরু করতে চাইলে যা মাথায় রাখা জরুরী
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা যে কারো জন্যই একটি বিশাল অর্জন। আর এ ক্ষেত্রে ওয়েব সেক্টর এখন অনেক ভাল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমরা এখন খুব সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে আয়ের একটি উৎস খুঁজে বেড়াই। অনেক সময় অনেক রকমের প্রতারণার সম্মুখীনও হতে হয়। আবার যে সকল কাজগুলো সত্যিই কার্যকর সেগুলোও অনেক সময় একটু সাহসের অভাবে করে ওঠা হয় না। তাই আজকের এই লেখাতে পুরো ব্যাপারটিকেই একটি আকার দেয়ার চেষ্টা করব।
আমাদের চারপাশে অনলাইনে টাকা আয়ের এত উপায়ের মধ্যে আপনারা যেন হারিয়ে না যান- সে জন্য এই লেখা। অনেক সময়ই ‘ফ্রীল্যান্সিং শিখুন- স্বনির্ভর হোন!’ টাইপের বিজ্ঞাপণ আমাদের চোখে পড়ে। আসলে অর্থ-কড়ি, টাকা-পয়সার প্রতি আমাদের টান এর কারনেই আমরা এ সকল অফার লুফে নিতে চেষ্টা করি। কিন্তু সকল চেষ্টার আগে আমাদের যা কিছু মাথায় রাখতে হবে, তা হল-

কাজের দক্ষতা

ফ্রীল্যান্সিং হচ্ছে এক কথায় ছুটা কাজ। উন্নতবিশ্বের বাসিন্দারা তাদের যে কোন কাজ এ সাহায্যের প্রয়োজন হলে খচরা ভাবে তা বাইরে থেকে করিয়ে নেন। এটিকে বলা হয় আউট সোর্সিং। আর আউটসোর্স সাপোর্ট ওয়ার্কাররাই ফ্রীল্যান্সার। স্থায়ী ভাবে নিয়োগ না পেয়েই ফ্রীল্যান্সিং করা যায়। আর বায়াররা মূলত যে সকল কাজ আউটসোর্সিং করিয়ে নেন তার ৮০% এরও বেশি কাজ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কিংবা তা সম্পর্কিত। তাই ফ্রীল্যান্সিং করতে হলে আমি বলব ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর ওপর ভাল দখল থাকতে হবে। আজকাল ফ্রীল্যান্সিংয়ের অনেক ফ্রী পরামর্শ পাওয়া যায়। আর বিশদ জানতে চাইলে ফ্রীল্যান্সিং শেখার কোর্স করতে হয়। যেখানে শুধু মার্কেটপ্লেস এবং কম্পিটিশন সম্পর্কে অনেক ধারনা দেয়া হলেও ‘দক্ষতা’ বিষয়টিকে বরাবরই এড়িয়ে যাওয়া হয়। কোথাওতো শুধু মাত্র ব্ল্যাক লিংক বিল্ডিংকেই ফ্রীল্যান্সিং/এসইও ওয়ার্ক বলে আক্ষা দেয়া হয়। মনে রাখবেন, ফ্রীল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিংবা অনলাইন মার্কেটিং এর কাজের উপর ভাল দক্ষতা থাকতেই হবে। আপনি চাইলে এখনই শুরু করতে পারবেন, হয়ত কাজও পাবেন; কিন্তু এসবের উপর দক্ষতা আসার পরেই তা ক্লায়েন্টকে করে দিতে পারবেন। সুতরাং ঝোপ বুঝে কোপ মারার চিন্তা না করে আগে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলুন।

মার্কেটপ্লেস ও মার্কেট আইডিয়া

সবার আগে আপনাকে মার্কেটপ্লেস এ রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে Odesk, Elance, Freelancer অন্যতম। বর্তমানে অবশ্য ওডেস্ক ও ইল্যান্স যৌথ ভাবে কাজ করা শুরু করেছে। মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ভালভাবে ধারণা না থাকাটা অনেক সময়েই বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। কাজের বাজার-বাজার দর উভয় ধারণাই এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেটপ্লেস এ রেজিস্ট্রেশনের পরে প্রথম কাজ হল সুন্দর একটি প্রোফাইল দাড় করা। এক্ষেত্রে একটু সুন্দর করে সময় দিয়ে ধাপে ধাপে ওয়ার্কার প্রোফাইল তৈরী করা হল বুদ্ধিমানের কাজ। আরেকটি বড় কাজ হচ্ছে আপনার পূর্ববর্তী কাজের একটি পোর্টফোলিও তৈরী করা। এটিই আপনাকে আপনার প্রথম কাজটি পাইয়ে দিতে অনেকখানি সাহায্য করবে। কেননা প্রথম কাজটি পাওয়াই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। একটি প্রোফাইল সম্পূর্ণ করতে মার্কেটপ্লেস ভেদে বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করতে হয়।
একবার আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণ হয়ে গেলে পরে আপনার কাজ হল বিড করা। কিছু মার্কেটপ্লেসে বিডের লিমিট থাকে। তাই অবান্তর এবং শুধু শুধু বিড করা থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। বিড এ PM বা পার্সোনাল ম্যাসেজ করুন। সেখানে একটু আকর্ষণীয় কিছু লেখার চেষ্টা করুন। মুখস্থ বা কমন কিছু লিখবেন না যাতে বায়ারের কাছে আপনার বিডটি র‌্যান্ডম এবং অর্ডিনারি মনে হয়।
বায়ার আউটসোর্সিং এর এড টিউন করার পর প্রথম ৫-৭টি বিডই তাদের মনযোগ আকর্ষণ করে। তাই বিডার হিসেবে দ্রুত হবার চেষ্টা করুন। সেই সাথে যুতসই ও প্রযেক্ট রিলেটেড ম্যাসেজ লিখুন। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় কাজ পেয়ে যাবেন। এতে অবশ্য ২দিনও লাগতে পারে… আবার ২ মাসও। তাই লেগে থাকুন, ধৈর্য রাখুন।
 ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কি এটা আমার সঠিক সময়?
সব কিছুর একটা বয়স/সময় আছে,সঠিক সময়ে সঠিক পথে না গেলে পরে সফল হবার সম্ভাববনা কমেই যায়। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন,বর্তমান পেশা ছেড়ে ফ্রিল্যান্সিং এ আসলে আপনি মানিয়ে নিতে পারবেন কিনা। যদি আপনি শিক্ষার্থী কিংবা সদ্য পাশ করা যুবক হয়ে থাকেন তবে এক কথায় বলবো এই পথে আপনার সূচনা হওয়া চাই।
প্রতিটা মানুষের চাকরি/কাজ করার জন্য একটা উপযুক্ত সময় লাগে,আপনি যদি একজন ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষার্থীকে এনে এই পেশায় ডুকিয়ে দিন তবে তার বড় হওয়া তো দূরের কথা স্বপ্ন দেখাই পাপ হয়ে দাড়াবে। তাই যখন তখন ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসা যাবে না।আগে একটা উপযুক্ত সময় বেছে নিন। আপনি যখন নিজেকে মানষিক ভাবে যখন কাজ করার জন্য প্রস্তুত মনে করবেন,তখনি আসুন।
আমি ফ্লিল্যান্সিং পেশায় পেশাজীবি হতে চাই,কিন্তু কিভাবে?
১. সব সময় নিজেকে প্রফেশনাল ভাবতে শিখুন: আপনি মনে করবেন যে আপনি বেকার নন,শুধু অফিসে বসে কাজ করলেই তাকে পেশা/চাকুরি বলে না। আপনি সব সময় ভাবুন যে আপনি পেশাজীবি এবং আপনার একটি সম্মানজনক পেশা আছে।
২. সব সোর্স থেকে উপদেশ গ্রহন করবেন না: আমরা প্রতিদিন যে কথাবার্তা শুনি বা বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় কিংবা জনসভায় যা শুনি তার সবগুলো আপনি উপদেশ হিসেবে গ্রহন করবেন না।
ভালো এবং খারাফের পার্থক্য নিশ্চিত করার পর ভালো টা গ্রহন করুন।অনেকে পত্র পত্রিকায় নিজেদের স্বার্থে অনেক কিছুই বলে/লিখে,তবে তার সব কটি পজেটিভ নয়।
৩. পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে সাহায্য নিন
৪. একটি সময় ঠিক করুন,কতদিন এই পেশায় থাকবেন: মিনিমাম ৩ অথবা ৫ বছর প্রাথমিক ভাবে নিদ্দিষ্ট করুন যে আপনি আগামী ৫ বছর ফ্রিল্যান্সিং করবেন।
৫. সব অফার গ্রহন করবেন না: আপনি যখন ভালো পজিশনে থাকবেন তখন অনেক অফার পাবেন,তাই বলে সবগুলো গ্রহন করবেন না,কিছু অফার ছেড়ে দিন এবং বেছে যেকোন একটি ভালো সুযোগ গ্রহন করুন। কেননা ছোট এবং কম লাভজনক কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেললে পরে ভালো অফার পেলেও আপনি তা গ্রহন করতে পারবেন না বা সেই সুযোগ থাকবে না।
৬. যে কাজটি পারেন তাই করুন: ফ্রিল্যান্সিং এ অনেক কাজ রয়েছে,আপনি যেটা ভালো পারেন সব সময় সেটাই করুন,বার বার কাজ পাল্টাবেন না,এতে আপনি ততটা দক্ষতা অর্জন করতে কোনদিন পারবেন না।যে কোন একটা কাজেরই অভিঙ্গতা অর্জন করুন।

ওডেস্ক (আপওয়ার্ক) থেকেই শুরু হউক ফ্রিলান্স ক্যারিয়ার। কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন?

মুলত অনলাইনে কিছু নির্দিষ্ট সাইট/ মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই কাজ করতে পারবেন। ওডেস্ক হচ্ছে এদের মধ্যে অন্যতম। এর আগেও হয়ত আপনি ওডেস্ক সম্পর্কে শুনেছেন। কিন্তু এটা কি তা জানেন না অথবা জানলেও প্রচুর আগ্রহ থাকা সত্তেও সঠিক দিক-নির্দেশনের অভাবে কাজ করতে পারছেন না।
ওডেস্ক (আপওয়ার্ক) কি?
ওডেস্ক হচ্ছে এমন একটা জায়গা যেখানে কাজ দেয়া নেয়া হয়। এটি একটি মার্কেটপ্লেস আর খাস বাংলায় এটাকে কাজের বাজারও বলতে পারেন (নো প্রবলেম). তবে মনে রাখবে ওডেস্ক অথোরিটি নিজে কাউকে কাজ দেয় না। ইতোমধ্যে অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেছে, আমি যদি ওডেস্ক এ যোগ দিই তাহলে কি আমাকে কাজ দিবে? আমি আবারো বলছি ওডেস্ক নিজে আপনাকে কাজ দিবে না কখনই। আর মনে রাখবেন, ওডেস্কে ২ ধরনের মানুষের আনাগোনা। এক ধরনের মানুষ যারা কাজ দেয় আর এক ধরনের মানুষ আছে যারা ওই সমস্ত কাজ গুলো করে দেয়। তার মানে বোঝা যাচ্ছে, ওডেস্কে আপনার আমার মতই মানুষেরা কাজ দেয় যাদেরকে আমারা বলি ক্লায়েন্ট বা বায়ার। আর আমরা যারা ওই সমস্ত কাজ গুলো করে দিই তাদেরকে বলা হয় কন্ট্রাক্টর। কাজ করে দেয়ার মাধ্যমে আমরা এর মুজুরি পেয়ে থাকি বায়ারের কাছ থেকে। ব্যপারটা আরেকটু সহজ করতে একটা উধাহরণ দিই (সাথেই থাকুন). আমরা অনেকেই প্রাইভেট টিউশনি করি। বর্তমানে এইটা পাওয়া অনেক কঠিন। কিন্তু আমার দরকার, তাহলে আমার করনীয় কি? একটা প্রাসঙ্গিক মিডিয়ার কাছে যাব, সেখানে ফ্রম পূরণ করে সদস্য হতে হয়। যেখানে আপনার পুরো জীবন-বিত্তান্ত এবং যোগ্যতাসমূহ উল্লেখ থাকবে।
যার উপর নির্ভর করবে আপনি কোন ক্লাসের স্টুডেন্ট পড়াতে পারবেন। এরপর টিউশনিতে যোগ দান করার পর একটা নির্ধারিত সময়ে বেতন পাবেন। এবং আপনি যেহেতু মিডিয়ার কল্যাণে কাজটি পেয়েছিলেন তাই আপনার পাওয়া বেতনের টাকা থেকে একটা নির্দিষ্ট পার্সেন্টেস মিডিয়াকে দিতে হবে। এটাই মিডিয়ার লাভ। এভাবেই চলছে মিডিয়াগুলো। এরূপ আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী ওডেস্কে আপনি কাজ পাবেন। ধরুন আমার যোগ্যতা, আমি ইংরেজিতে ভাল তাই আর্টিকেল লেখার যোগ্যতা আমার আছে, তাই বলে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর মত বড় ধরনের কাজ গুলোতে আপনি কখনই কাজ পাবেন না। আগে আপনি যোগ্যতা অর্জন করুন এরপর আবেদন করুন পছন্দনীয় কাজে। আর এই কাজ পেতে সাহায্য করবে ওডেস্ক এবং বিনিময়ে এর বিনিময়ে আপনার আয়ের ১০% ফী ওডেস্ক কেটে রাখবে। আপনার এই আয়ের টাকা দিয়েই চলে ওডেস্ক। তাই তাই ওডেস্ক চায় তার সাইটের সব কাজ যেন সাকসেস হয়। এতে তার আয়ের পরিমান বাড়বে। তার মানে আপনাকে কাজ করতে সর্বচ্চো সুবিধা পাবেন ওডেস্ক থেকে।
কিভাবে কাজ পাব আমি?
হাঁ আপনি তো বুঝেই গেছেন কেন ও কিভাবে আপনি কাজ পাবেন। কি বুঝতে পারেন নি এখনো! ঐ যে
বললাম যোগ্যতা। ধরেন আপনি ওডেস্কে নীতিমালা অনুসরণ করে এর ফর্ম পূরণ করলেন, যা ১০০% ফ্রি। এবং জবে আপ্লাই করা আরম্ভ করলেন, তাহলেই কি কাজ পেয়ে যাবেন? হুহ, এত সহজ!!!
এতই যদি সহজ হত তাহলে এতদিনে পৃথিবীর সব মানুষ গুলো এই কাজই করতো এবং ঘুমাতো টাকার বিছানায় (ভুল বললাম কি?). হতাশ হবেন না দয়া করে, আরে ভাই ভুলে যাচ্ছেন কেন ওডেস্ক তো অপেক্ষা করছে আপনার জন্যই! ভাবছেন তাহলে আমার করনীয় কি? প্রোফাইলটা ১০০% কমপ্লিট করুন।
কিভাবে ১০০% প্রোফাইল কমপ্লিট করবো?
ওডেস্কের নীতিমালা অনুযায়ী আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। এখন একটু ভাল করে পরে দেখুন, তাহলেই বুঝবেন কোনটার পর কোনটা করতে হবে। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। সাধারণত এইগুলি কমপ্লিট করলেই ১০০% প্রোফাইল কমপ্লিট।
  • ছবি যুক্ত করতে হবে
  • আগে কোথায় কাজ করসেন, সেই ডাটা পূরণ করতে হবে
  • ঠিকানা দিতে হবে
  • আপনার বিষয় মানে যেই কাজে দক্ষ, সেইগুলা দিতে হবে
  • রেডিনেস টেস্টে পাশ করতে হবে
  • রেডিনেস টেস্ট ছাড়া আপনার বিষয় এর আরেকটা টেস্ট দিতে হবে, এবং পাশ করতে হবে
  • আইডেন্টিটি ভেরিফাই করতে হবে
  • পোর্টফলিও যোগ করতে হবে
পরবর্তী পোস্টে আরো আলোচনা করা হবে। সাথেই থাকুন

যাই হোক অনেক বড় লেখা হয়ে গেল। আশা করি সকলেই বুঝতে পেরেছেন। এখন এই পথের কোন পথে যাবেন সেইটা আপনার সিদ্ধান্ত । আপনার সিন্ধান্তর প্রতি কেউ জোর করবে না। কেউ বলবে না তুই এই কাজ কর এটা একটা স্বাধীন পেশা। আপনি যেই পথ বেছে নিবেন সেই পথ থেকেই প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। শুধু আপনার থাকতে হবে শেখার প্রচুর আগ্রহ, এবং ধৈর্য্য।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আমি অনলাইনে কি কাজ করবো? পর্ব-2